এইতো গত-বছরেরই ব্যাপার ---আমি তখন সদ্য M.Sc complete করে কল্যাণীর একটা private Engineering-College-এর Civil-Engineering Dept.-এ Engineering Geology-র Faculty হিসেবে join করেছি...3rd Year B.Tech studentদের পড়াই W.B.U.Tর syllabus অনুযায়ী আর regular local-trainএ যাতায়াত করছি ।
প্রায় এক-যুগের এই Collegeএর Civil Dept.টি সবে 3বছরে পা দিয়েছে তখন...তাই তার তিনতলা Departmental-buildingএর কিছুটা [মানে ,কয়েকটি ঘর আর কি !] তখনও Mechanicalএর দখলে! কিন্তু ,বেশিদিন তা আর থাকল না । Mechanical নিজের Departmental-building-এ shift করায় দুই দলেরই separate building হয়ে গেল ।ফলবশত ,একটার বদলে দুটো Faculty-room পেলাম আমরা,যার মধ্যে একটি আগে Mechanicalএর Faculty-room ছিল । মাত্র দেড়-মাস হল class start হয়েছে তাই বোধহয় সব student জানত না এই changeএর ব্যাপারটা । Computer-Lab.এর পাশের Faculty-roomটাই [যেটা আগে Mechanicalএর ছিল !] বসতাম আমি ।
"Mam,অনিন্দ্য Sir কে খুঁজছিলাম ..." [প্রসঙ্গত,জানিয়ে দিই-অনিন্দ্যদা Mechanical এর Faculty !!!]
---"What's you name,Mam?" ---এবার তাকিয়া দেখলাম বছর 19-20 এর Non-Bengali student [...বাঙালি নয় বলেই বোধহয় বয়সের তুলনায় বেশি হোমরা-চোমড়া অথবা ঠিকঠাক ও বলা যায় Non-Bengali দের সাপেক্ষ্যে ...তবে তাতে তার teenage ঢাকা পরছে না কোনভাবেই ...অল্প বয়স খুব সহজেই ধরা পড়ছে ...]খুব আগ্রহের সাথে আমার উত্তরের অপেক্ষাই তাকিয়ে আছে !!!
এবার টাইম-মেশিন -এ চেপে পিছিয়ে যাই প্রায় ৬-৭ বচ্ছর ,পৌঁছে যাই আমার স্কুল -লাইফ এ ,নিজের জায়গা -মালদায় কাটানো আমার কৈশোরে ...আমি তখন বছর ১৭এর রোগা ,তেল -চুপচুপে ছোট চুলের এক স্কুল -পড়ুয়া কিশোরী যার জগৎ স্কুল -টিউসন -বাড়ি -কিছু নির্বাচিত বন্ধু (তারা সকলেই অবশ্যই মেয়ে ...না ,স্কুলে পড়ার সময় আমার কোনো ছেলে বন্ধু ছিল না ,যদিও আগ্রহী ছিল কেউ কেউ ...কিন্তু ,বাবা-মা-টিচার দের ভয়ে নয় বরং কেউ আমাকে কখনো কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলে আমার গায়ে 'বাজে -মেয়ের 'তকমা পরে যাবে আমার সেটাই ধারণা ছিল !!! :-D )-পড়াশুনা আর তার নিজের ভবিষ্যত কেরিয়ারের স্বপ্ন ---এই গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ।
তখন আমার ক্লাস টুয়েলভ ,রোজ সকাল -বিকেল টিউসন থাকত ,সঙ্গে থাকত চাপ আগত বোর্ড এগ্জামের ।তখন ৩দিন সকালে অঙ্কের টিউসন থাকত ,সকাল ৭টা নাগাদ ,চলত প্রায় ৯টা -সাড়ে ৯টা অব্দি । অত সকালে যেহেতু রিকশা মিলত না আর বাড়ি থেকে যেহেতু কাছে ছিল সেটা তাই একা হেটেই যেতাম ,সাড়ে ৬টা নাগাদ বেরলেই চলত । যাওয়ার পথে মাঝ-রাস্তাই একটা মোড় পরত যেখানে ৩-৪টে দিক থেকে ছোট কিছু গলি রাস্তা এসে মিশেছে ,সেই মোড়ে একটা কালী -মন্দির ছিল ,ওইখানের পাড়ার স্থানীয় অল্প-বয়সী ছেলেদের আড্ডার ঠেক ছিল ওই মন্দিরের সিড়ির ধাপগুলো ,তবে কোনো ইভটিজিং ঘটনার কথা শোনা যায়নি কখনো । রোজ ওইখান দিয়ে যাওয়ার সময় মন্দিরের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে পেন্নাম ঠোকা দুই বছরে অভ্যেস হয়ে গেছিল আমার ।
তবে সেই দিনটার কথা আমার আজও মনে আছে --- অভ্যেসবশত প্রনাম করার জন্য মন্দিরের দিকে তাকিয়েছি হটাত দেখি ওই সিড়ির ধাপে একটি অল্পবয়সী ছেলে (সেই সময়ের আমার থেকে বয়সে বড়ই হবে) অবাক চোখে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ! প্রথমে ভেবেছিলাম আমার মনের ভুল ,কিন্তু আশপাশে তাকিয়ে বুঝলাম অত সকালে যখন ওই রাস্তা পুরো ফাঁকা ,এমনকি আশেপাশের লোকাল দকানগুনো অব্দি বন্ধ ,রাস্তায় দুধওয়ালা আর কাগজওয়ালা আর কিছু বাড়ির মহিলারা সবে দরজায় জল দিচ্ছে ---এছাড়া আর কিছুই নেই তখন ওই যুবক ছেলেটির দর্শনীয় বস্তুটি আমিই !!!--- ছেলেটিকে তখন এক নজরে (এবং পরেও) দেখে যা বুঝেছিলাম যে ছেলেটি সম্ভবত কোনো নিম্ন-বিত্ত পরিবারের ছেলে ...লোফার-টাইপ বলে যাদের চলতি ভাষাই এই ছেলেটি সেই ধরনের !!!--- কিন্তু তার তাকিয়ে থাকায় আমার কয়েক সেকন্ডের জন্য হলেও খারাপ লাগেনি ! ...
সেদিনের পর থেকে ছেলেটি আমার ঐখান দিয়ে যাওয়া -আসার সময় প্রায় মুখস্ত করে ফেলে ঐখানে যেন ডিউটি করত ,এমনকি ওই রাস্তা দিয়ে অন্য কোথাও রিক্সা করে গেলেও তাকিয়ে থাকতে লক্ষ্য করেছি ...না ,আমি তার দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করেছি এমন নয় ...কিন্তু ,মেয়েদের একটা সহজাত ক্ষমতা (ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় !) থাকে যে কেউ তার দিকে প্রশংসাসূচক দৃষ্টিতে তাকালে সে সেদিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারে ---এটা একদম সত্যি যার জোরেই আমি বুঝেছিলাম । মাঝেমধ্যে ওই টিউসন থেকে ফেরার পথে শবনম নাম আমার এক বন্ধুর সাথে ফিরতাম ...সে অব্দি বুঝতে পেরেছিল কিন্তু এইসব ব্যপারে এতটাই নিস্স্পৃহ ছিলাম (অন্যদের কাছে /চোখে !!!) আর সেই সাথে এতটাই বেশিমাত্রাই সিরিয়াস ,ইন্ট্রোভার্ট আর রাগী ছিলাম যে শবনম ও আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস না করে ইনিয়ে -বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছিল !!! ... তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তার মানে আমার ধারনাটাই ঠিক ...ছেলেটি রোজ আমার জন্যই দাড়িয়ে থাকে ওখানে ।...একদিন আবার ছেলেটির কিছু বন্ধু কেও দেখেছিলাম ছেলেটির সাথে ...বোধহয় আমাকে দেখাতেই ... ["প্রেমের আরেক নাম প্রকাশ "---না কি যেন একটা বলে যে ,ওই আর কি ...হাঃ ! হাঃ ! :-D]... তারাও মনে হল তাদের মতো করে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিল ছেলেটিকে আমার জন্য অথবা আমাকে শুনিয়ে anyhow সেটা জানান দেবার জন্য ! আসলে সেই দিনও শবনম আমার সাথে ছিল ,তাই ও বুঝেছিল ! কিন্তু,ছেলেটি ও তার বন্ধুরা 'লোফার ' গোছের হলেও কখনো কোনো নোংরা কিচ্ছু করার চেষ্টা করেনি ...আমি খুব ভয় পেয়ে ওই রাস্তা দিয়ে আর যাব না ঠিক করেছিলাম কিন্তু তার কোনো প্রয়োজন হয়নি ।
আজ মিথ্যে বলব না ---ছেলেটির থেকে free তে attention পেতে ভালই লাগত আমার,কেঠো maths-tuition তাজা হয়ে যেত ...আর কোনদিন আমার জন্য দাড়িয়ে না থাকলে খারাপ না লাগলেও বিরক্ত লাগত ! এর কারণ এটা নয় যে আমি আমার class এর boys'-attention পেতাম না তখন, ...পেতাম ,without any effort ই পেতাম আমার বয়সী আরো কয়েকটা মেয়ের মতো কিন্তু এই গল্পের Hero যেমনই হোক না কেন তার আমাকে দেওয়া attention আমার ভাল লাগার কারণ হচ্ছে [সেই বয়সে এবং পরেও নিজেকে পড়ে যেটা realize করেছি আরকি ...]--- আমার প্রতি তার ভাললাগাটা ছিল স্বার্থশুন্য ,কারণ:--- এই ধরনের আর পাঁচটা roadside-Romeoদের স্বভাব হিসেবে যা ধরা হয় যে যেকোন মেয়ের সাথে flirting অথবা পাত্তা না পেলে teasing কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে কখনো কোনভাবে disturb করাতো দূরের ব্যাপার ,পথচলতি অন্য কোনো মেয়ে বা আমার সাথে কখনও -সখনও আমার অন্য বান্ধবীরা (যাদের কাছে আমি এসব কিছুই প্রকাশ করিনি তখন আর যাদের মধ্যে আমার থেকে বহু -গুণ attractive অনেকেই থাকতো !) ঐ রাস্তা দিয়ে গেলেও সেই ছেলেটিকে আমাকে ছাড়া আর কারো দিকে কোনদিন একইভাবে তাকাতে notice করিনি আমি !!! আমার মতে ,তাকিয়ে থেকে দেখার মতো অথবা চোখ -ফেরানো -যায় না এমন কিংবা ফিরে দেখতে বাধ্য করাই তেমন চোখ ঝলসানো তথাকথিত ভাবে 'সুন্দরী ' বলতে যা বোঝাই সেরমটা আমি কখনোই নই আর বলাবাহুল্য যে তখন তো আরো ছিলাম না আর তাছাড়া সেতো আমায় personally চিনত না ,তাই জানত ও না আমি কে-কি বা কেমন আর তার আমার দিকে তাকানোতে কোনো নোংরামি আছে বলে মনে হয়নি কখনোই ...বরং,যেটা ছিল সেটাকে বলা যায় --- নিষ্পাপ ভালোলাগা !!!
'
so,এতক্ষণে আমার দেওয়া title টার মানে বোঝা গেল ? নামকরণ স্বার্থক তো ?
ভালবাসা সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে ,শুধু ঠিকমতো খুঁজে নিয়ে তাকে সঠিক value,importance,priority & time দিয়ে যত্ন নিয়ে ঠিকমতো maintain করা খুব দরকার কারণ ভালবাসা বড্ড অভিমানী তাই মিথ্যে ego-র বশে attitude দেখিয়ে তাকে for granted ধরে নিলে সে টিকবে কেন ?
আগাছার জন্মাতে আর বাড়তে যেমন যত্ন লাগে না,বারবার উপড়ে ফেললেও যেমন এমনিই ফিরে আসে অনেকক্ষেত্রে ভালোবাসাও সেরম হয় ...মূল্যহীন আগাছা ভেবে হেলা-ফেলা করে তাকে হেলায় হারায় আর যখন বুঝতে পারা যায় যে তা কতটা অমূল্য ছিল ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায় এতটাই যে আর গাছের গোড়ায় সার-জল দিয়ে আর মরা গাছকে বাচানো কিনবা আগের মতো তরতাজা করা যায়না ...আয়নায় ভাঙ্গা দাগটা রয়েই যায় !!! আবার',খুব দূরের জিনিস যেমন না জেনে ,না চিনে ,না বুঝেই "দূরের ঢাকের বাদ্যি " কিনবা " নদীর এ পাড় থেকে ও পাড় " মনে হয় তেমনই আবার চোখের খুব কাছে থাকা বই পড়তে পারা যায়না ---ইচ্ছে হলেও অথবা চেষ্টা করলেও !!!
ঐ যে বলেনা -"প্রেমের ফাঁদ পাতা আছে এ ভুবনে !"...এখানে তাই কখন কোথায় যে কে কার সাথে কিভাবে আর কেনই বা জুড়ে যায় সেটা চিরকালের unsolved একটি রহস্য ['x =প্রেম ',ধরে অঙ্ক কষেও হিসেব মেলেনা কিছুতেই;]। আজকালকার মানুষের হইতো মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস উবে গেলেও বোদহয় ভালবাসার প্রতি ভরসাটা উদ্ব্বায়ী হয়ে যায়নি এখন অব্দি ।
জীবনের বেশ কিছু বসন্ত পেরিয়ে এটাই বুঝেছি যে এই পৃথিবীতে যারা সত্যিকারের ভালোবাসাকে, ভালবাসার মানুষকে যেভাবে চায় ঠিক সেভাবেই পায় সারা জীবনের জন্য ---এরকম সৌভাগ্যবান /সৌভাগ্যবতীর সংখ্যা তো হাতে গোনা ! হইতো নির্দিষ্ট যার থেকে সেই special ভালোবাসাটি পেতে চায় ,সে ভালোবাসলোই না --- তার মানে এই নয় যে বাকি জীবনটা সেই নিয়ে দুঃখ-বিলাস করে কাটিয়ে দেব ...যে নেই /যা পেলাম না সেই অতীতের পেছনে ছুটে বর্তমানে যারা আছেন /যা -যা পেয়েছি সেসব অবহেলাই হারিয়ে নিজের ভবিষ্যত -জীবন টা ভালোবাসাবিহীন ভাবে একা করাটা ফালতু ! আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন কয়েকজন মানুষ আছেন যারা আমাদের সত্যি ভালবাসেন ...কিন্তু ,এই ধরনের মানুষের সংখ্যা আবার আমাদের জীবনে হাতে গোনা ...তাদের কক্ষনো হাত থেকে যেতে দিতে নেই ,তাদের হাত শক্ত করে বেঁধে রাখতে হয় নিজের হাতে ভালবাসার বাঁধনে ...সেই বন্ধন যেন কখনো কোনো কিছুর বিনিময়েই আলগা না হয় ,আর তাহলেই আমরা literally always feel করতে পারব --- LOVE is in the air...!!!
;-)
প্রায় এক-যুগের এই Collegeএর Civil Dept.টি সবে 3বছরে পা দিয়েছে তখন...তাই তার তিনতলা Departmental-buildingএর কিছুটা [মানে ,কয়েকটি ঘর আর কি !] তখনও Mechanicalএর দখলে! কিন্তু ,বেশিদিন তা আর থাকল না । Mechanical নিজের Departmental-building-এ shift করায় দুই দলেরই separate building হয়ে গেল ।ফলবশত ,একটার বদলে দুটো Faculty-room পেলাম আমরা,যার মধ্যে একটি আগে Mechanicalএর Faculty-room ছিল । মাত্র দেড়-মাস হল class start হয়েছে তাই বোধহয় সব student জানত না এই changeএর ব্যাপারটা । Computer-Lab.এর পাশের Faculty-roomটাই [যেটা আগে Mechanicalএর ছিল !] বসতাম আমি ।
তো একদিন ঐ roomএ নিজের desk এ বসে আমার studentদের Practical-copy check করছি,recess এর ঠিক পরেই ছিল সেদিন ওদের lab ছিল আমার under এ...হটাত দেখি কতগুলো student room এ উঁকিঝুঁকি মারছে ...room এ আর কেউ [শতাব্দীদি,সৌরাভদা বা J.B Sir] তখন না থাকায় আমাকেই বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করতে হল---
"কি ব্যাপার ?"
"Mam,অনিন্দ্য Sir কে খুঁজছিলাম ..." [প্রসঙ্গত,জানিয়ে দিই-অনিন্দ্যদা Mechanical এর Faculty !!!]
বুঝলাম ,যে এরা Mechanical এর কিন্তু shifting এর ব্যাপারটা জানে না এখনও ।
রাগত চোখে বেশ কড়া গলাতেই বললাম --- "এটা তো এখন Civil এর Faculty-room !!! Mechanical এখন পুরোটাই সামনের building এ ।"
"ওহঃ ,কিন্তু ?!?"...ঐ তিন জনকে নিজেদের মধ্যে বিড়বিড় করতে দেখে আবার নিজের কাজে মন দিতে যাব ভেবে খুলে রাখা চশমাটা just হাতে নিয়েছি , ঠিক তখনই ---
"आप Civil के Faculty हों ?"--- কাজে আবার ব্যাঘাত ঘটায় বিরক্ত চোখ তুলে তাকিয়ে দেখি ,ওই দলের বাকি দুটি ছেলে পাশের Computer-Lab.এ ঢুকলেও এই একজন এখনও এখানেই দাঁড়িয়ে,প্রশ্নের source টাও obviously সে !!!
হাঁ -সূচক ভঙ্গীতে মাথা নেড়ে খাতার -পাতায় চোখ দিতে যাচ্ছি ...আবার ---
(এবার )ভীষণ politely (more specifically বললে sweetly /cutely ও বলা চলে)---
(এবার )ভীষণ politely (more specifically বললে sweetly /cutely ও বলা চলে)---
---"What's you name,Mam?" ---এবার তাকিয়া দেখলাম বছর 19-20 এর Non-Bengali student [...বাঙালি নয় বলেই বোধহয় বয়সের তুলনায় বেশি হোমরা-চোমড়া অথবা ঠিকঠাক ও বলা যায় Non-Bengali দের সাপেক্ষ্যে ...তবে তাতে তার teenage ঢাকা পরছে না কোনভাবেই ...অল্প বয়স খুব সহজেই ধরা পড়ছে ...]খুব আগ্রহের সাথে আমার উত্তরের অপেক্ষাই তাকিয়ে আছে !!!
Mechanical-এর student-এর Civil-এর Faculty-র নাম জানার প্রয়োজনীয়তাটি ঠিক কি সেটা না বুঝতে পারাই আমি আর না জিজ্ঞেস করে পারলাম না --- "Why?"
এবার সে আমাকে অবাক করে দিয়ে অদ্ভূত একটা লাজুক দৃষ্টিতে নিজের কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল --- "यूँही !!!"
আমি আর না করতে পারলাম না ...অনেক কষ্টে নিজের হাসি চেপে যতটা সম্ভব গম্ভীর ভাবে নিজের নামটা বললাম ।দেখলাম ,ছেলেটির লাজুক দৃষ্টি এবার একটা লাজুক হাসিতে পরিণত হল "আমার নাম " টা জানার (কিংবা ,পাওয়ার পর !!!)...expression টা এমন যেন বিশাল কিছু একটা achieve করে ফেলেছে সে ...!!!
maximum ক্ষেত্রেই normally 'attention from opposite sex' আঠ থেকে আশির কার না ভালো লাগে ?...আমারও মুহুর্তের মধ্যে মনটা ভাল হয়ে গিয়ে বয়সটা অনেক কমে গেছে মনে হচ্ছিল !...কিন্তু এক্ষত্রে আমি যেটা খুব enjoy করেছিলাম সেটি ঐ ছেলেটির teenage-innocence আর কিছুটা হলেও তার অল্প বয়সের ভালোলাগার পাগলামী ও ...আমার just নামটাই কারোর কাছে এতটা important হতে পারে ,এতটা happy করতে পারে কাউকে ---সেটা নিয়ে কখনো ভাবিনি তো এর আগে !!! ওই ছেলেটির আমার প্রতি কয়েক minuteএর ভয় -মেশানো মুগ্ধ দৃষ্টি আর style-'মেরে '(আমায় impress করতে কিংবা spontaneously করা ...জানি না...) কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলা --- "यूँही !!!" --- আমি কখনো ভুলব না,ভুলতে পারব না আর সত্যি বলতে কি ভুলতে চাই ও না ।
কেন ???????????????????????????????????????????????
সহজ-সরল ছোট্ট সেই উহ্য থাকা (কিংবা,রাখা !)কারণটা তো পাঠক /পাঠিকা-রা সকলে বুঝতেই পারছেন ...তাও যারা আমার থেকেই সরাসরি জানতে চান তাদের জন্য বলি ,
এবার টাইম-মেশিন -এ চেপে পিছিয়ে যাই প্রায় ৬-৭ বচ্ছর ,পৌঁছে যাই আমার স্কুল -লাইফ এ ,নিজের জায়গা -মালদায় কাটানো আমার কৈশোরে ...আমি তখন বছর ১৭এর রোগা ,তেল -চুপচুপে ছোট চুলের এক স্কুল -পড়ুয়া কিশোরী যার জগৎ স্কুল -টিউসন -বাড়ি -কিছু নির্বাচিত বন্ধু (তারা সকলেই অবশ্যই মেয়ে ...না ,স্কুলে পড়ার সময় আমার কোনো ছেলে বন্ধু ছিল না ,যদিও আগ্রহী ছিল কেউ কেউ ...কিন্তু ,বাবা-মা-টিচার দের ভয়ে নয় বরং কেউ আমাকে কখনো কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে দেখলে আমার গায়ে 'বাজে -মেয়ের 'তকমা পরে যাবে আমার সেটাই ধারণা ছিল !!! :-D )-পড়াশুনা আর তার নিজের ভবিষ্যত কেরিয়ারের স্বপ্ন ---এই গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ।
তখন আমার ক্লাস টুয়েলভ ,রোজ সকাল -বিকেল টিউসন থাকত ,সঙ্গে থাকত চাপ আগত বোর্ড এগ্জামের ।তখন ৩দিন সকালে অঙ্কের টিউসন থাকত ,সকাল ৭টা নাগাদ ,চলত প্রায় ৯টা -সাড়ে ৯টা অব্দি । অত সকালে যেহেতু রিকশা মিলত না আর বাড়ি থেকে যেহেতু কাছে ছিল সেটা তাই একা হেটেই যেতাম ,সাড়ে ৬টা নাগাদ বেরলেই চলত । যাওয়ার পথে মাঝ-রাস্তাই একটা মোড় পরত যেখানে ৩-৪টে দিক থেকে ছোট কিছু গলি রাস্তা এসে মিশেছে ,সেই মোড়ে একটা কালী -মন্দির ছিল ,ওইখানের পাড়ার স্থানীয় অল্প-বয়সী ছেলেদের আড্ডার ঠেক ছিল ওই মন্দিরের সিড়ির ধাপগুলো ,তবে কোনো ইভটিজিং ঘটনার কথা শোনা যায়নি কখনো । রোজ ওইখান দিয়ে যাওয়ার সময় মন্দিরের দিকে এক ঝলক তাকিয়ে পেন্নাম ঠোকা দুই বছরে অভ্যেস হয়ে গেছিল আমার ।
তবে সেই দিনটার কথা আমার আজও মনে আছে --- অভ্যেসবশত প্রনাম করার জন্য মন্দিরের দিকে তাকিয়েছি হটাত দেখি ওই সিড়ির ধাপে একটি অল্পবয়সী ছেলে (সেই সময়ের আমার থেকে বয়সে বড়ই হবে) অবাক চোখে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে ! প্রথমে ভেবেছিলাম আমার মনের ভুল ,কিন্তু আশপাশে তাকিয়ে বুঝলাম অত সকালে যখন ওই রাস্তা পুরো ফাঁকা ,এমনকি আশেপাশের লোকাল দকানগুনো অব্দি বন্ধ ,রাস্তায় দুধওয়ালা আর কাগজওয়ালা আর কিছু বাড়ির মহিলারা সবে দরজায় জল দিচ্ছে ---এছাড়া আর কিছুই নেই তখন ওই যুবক ছেলেটির দর্শনীয় বস্তুটি আমিই !!!--- ছেলেটিকে তখন এক নজরে (এবং পরেও) দেখে যা বুঝেছিলাম যে ছেলেটি সম্ভবত কোনো নিম্ন-বিত্ত পরিবারের ছেলে ...লোফার-টাইপ বলে যাদের চলতি ভাষাই এই ছেলেটি সেই ধরনের !!!--- কিন্তু তার তাকিয়ে থাকায় আমার কয়েক সেকন্ডের জন্য হলেও খারাপ লাগেনি ! ...
সেদিনের পর থেকে ছেলেটি আমার ঐখান দিয়ে যাওয়া -আসার সময় প্রায় মুখস্ত করে ফেলে ঐখানে যেন ডিউটি করত ,এমনকি ওই রাস্তা দিয়ে অন্য কোথাও রিক্সা করে গেলেও তাকিয়ে থাকতে লক্ষ্য করেছি ...না ,আমি তার দিকে তাকিয়ে লক্ষ্য করেছি এমন নয় ...কিন্তু ,মেয়েদের একটা সহজাত ক্ষমতা (ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় !) থাকে যে কেউ তার দিকে প্রশংসাসূচক দৃষ্টিতে তাকালে সে সেদিকে না তাকিয়েও বুঝতে পারে ---এটা একদম সত্যি যার জোরেই আমি বুঝেছিলাম । মাঝেমধ্যে ওই টিউসন থেকে ফেরার পথে শবনম নাম আমার এক বন্ধুর সাথে ফিরতাম ...সে অব্দি বুঝতে পেরেছিল কিন্তু এইসব ব্যপারে এতটাই নিস্স্পৃহ ছিলাম (অন্যদের কাছে /চোখে !!!) আর সেই সাথে এতটাই বেশিমাত্রাই সিরিয়াস ,ইন্ট্রোভার্ট আর রাগী ছিলাম যে শবনম ও আমাকে সরাসরি জিজ্ঞেস না করে ইনিয়ে -বিনিয়ে বলার চেষ্টা করছিল !!! ... তখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে তার মানে আমার ধারনাটাই ঠিক ...ছেলেটি রোজ আমার জন্যই দাড়িয়ে থাকে ওখানে ।...একদিন আবার ছেলেটির কিছু বন্ধু কেও দেখেছিলাম ছেলেটির সাথে ...বোধহয় আমাকে দেখাতেই ... ["প্রেমের আরেক নাম প্রকাশ "---না কি যেন একটা বলে যে ,ওই আর কি ...হাঃ ! হাঃ ! :-D]... তারাও মনে হল তাদের মতো করে কমপ্লিমেন্ট দিচ্ছিল ছেলেটিকে আমার জন্য অথবা আমাকে শুনিয়ে anyhow সেটা জানান দেবার জন্য ! আসলে সেই দিনও শবনম আমার সাথে ছিল ,তাই ও বুঝেছিল ! কিন্তু,ছেলেটি ও তার বন্ধুরা 'লোফার ' গোছের হলেও কখনো কোনো নোংরা কিচ্ছু করার চেষ্টা করেনি ...আমি খুব ভয় পেয়ে ওই রাস্তা দিয়ে আর যাব না ঠিক করেছিলাম কিন্তু তার কোনো প্রয়োজন হয়নি ।
আজ মিথ্যে বলব না ---ছেলেটির থেকে free তে attention পেতে ভালই লাগত আমার,কেঠো maths-tuition তাজা হয়ে যেত ...আর কোনদিন আমার জন্য দাড়িয়ে না থাকলে খারাপ না লাগলেও বিরক্ত লাগত ! এর কারণ এটা নয় যে আমি আমার class এর boys'-attention পেতাম না তখন, ...পেতাম ,without any effort ই পেতাম আমার বয়সী আরো কয়েকটা মেয়ের মতো কিন্তু এই গল্পের Hero যেমনই হোক না কেন তার আমাকে দেওয়া attention আমার ভাল লাগার কারণ হচ্ছে [সেই বয়সে এবং পরেও নিজেকে পড়ে যেটা realize করেছি আরকি ...]--- আমার প্রতি তার ভাললাগাটা ছিল স্বার্থশুন্য ,কারণ:--- এই ধরনের আর পাঁচটা roadside-Romeoদের স্বভাব হিসেবে যা ধরা হয় যে যেকোন মেয়ের সাথে flirting অথবা পাত্তা না পেলে teasing কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে কখনো কোনভাবে disturb করাতো দূরের ব্যাপার ,পথচলতি অন্য কোনো মেয়ে বা আমার সাথে কখনও -সখনও আমার অন্য বান্ধবীরা (যাদের কাছে আমি এসব কিছুই প্রকাশ করিনি তখন আর যাদের মধ্যে আমার থেকে বহু -গুণ attractive অনেকেই থাকতো !) ঐ রাস্তা দিয়ে গেলেও সেই ছেলেটিকে আমাকে ছাড়া আর কারো দিকে কোনদিন একইভাবে তাকাতে notice করিনি আমি !!! আমার মতে ,তাকিয়ে থেকে দেখার মতো অথবা চোখ -ফেরানো -যায় না এমন কিংবা ফিরে দেখতে বাধ্য করাই তেমন চোখ ঝলসানো তথাকথিত ভাবে 'সুন্দরী ' বলতে যা বোঝাই সেরমটা আমি কখনোই নই আর বলাবাহুল্য যে তখন তো আরো ছিলাম না আর তাছাড়া সেতো আমায় personally চিনত না ,তাই জানত ও না আমি কে-কি বা কেমন আর তার আমার দিকে তাকানোতে কোনো নোংরামি আছে বলে মনে হয়নি কখনোই ...বরং,যেটা ছিল সেটাকে বলা যায় --- নিষ্পাপ ভালোলাগা !!!
'
so,এতক্ষণে আমার দেওয়া title টার মানে বোঝা গেল ? নামকরণ স্বার্থক তো ?
ভালবাসা সব জায়গায় ছড়িয়ে আছে ,শুধু ঠিকমতো খুঁজে নিয়ে তাকে সঠিক value,importance,priority & time দিয়ে যত্ন নিয়ে ঠিকমতো maintain করা খুব দরকার কারণ ভালবাসা বড্ড অভিমানী তাই মিথ্যে ego-র বশে attitude দেখিয়ে তাকে for granted ধরে নিলে সে টিকবে কেন ?
আগাছার জন্মাতে আর বাড়তে যেমন যত্ন লাগে না,বারবার উপড়ে ফেললেও যেমন এমনিই ফিরে আসে অনেকক্ষেত্রে ভালোবাসাও সেরম হয় ...মূল্যহীন আগাছা ভেবে হেলা-ফেলা করে তাকে হেলায় হারায় আর যখন বুঝতে পারা যায় যে তা কতটা অমূল্য ছিল ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যায় এতটাই যে আর গাছের গোড়ায় সার-জল দিয়ে আর মরা গাছকে বাচানো কিনবা আগের মতো তরতাজা করা যায়না ...আয়নায় ভাঙ্গা দাগটা রয়েই যায় !!! আবার',খুব দূরের জিনিস যেমন না জেনে ,না চিনে ,না বুঝেই "দূরের ঢাকের বাদ্যি " কিনবা " নদীর এ পাড় থেকে ও পাড় " মনে হয় তেমনই আবার চোখের খুব কাছে থাকা বই পড়তে পারা যায়না ---ইচ্ছে হলেও অথবা চেষ্টা করলেও !!!
ঐ যে বলেনা -"প্রেমের ফাঁদ পাতা আছে এ ভুবনে !"...এখানে তাই কখন কোথায় যে কে কার সাথে কিভাবে আর কেনই বা জুড়ে যায় সেটা চিরকালের unsolved একটি রহস্য ['x =প্রেম ',ধরে অঙ্ক কষেও হিসেব মেলেনা কিছুতেই;]। আজকালকার মানুষের হইতো মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস উবে গেলেও বোদহয় ভালবাসার প্রতি ভরসাটা উদ্ব্বায়ী হয়ে যায়নি এখন অব্দি ।
জীবনের বেশ কিছু বসন্ত পেরিয়ে এটাই বুঝেছি যে এই পৃথিবীতে যারা সত্যিকারের ভালোবাসাকে, ভালবাসার মানুষকে যেভাবে চায় ঠিক সেভাবেই পায় সারা জীবনের জন্য ---এরকম সৌভাগ্যবান /সৌভাগ্যবতীর সংখ্যা তো হাতে গোনা ! হইতো নির্দিষ্ট যার থেকে সেই special ভালোবাসাটি পেতে চায় ,সে ভালোবাসলোই না --- তার মানে এই নয় যে বাকি জীবনটা সেই নিয়ে দুঃখ-বিলাস করে কাটিয়ে দেব ...যে নেই /যা পেলাম না সেই অতীতের পেছনে ছুটে বর্তমানে যারা আছেন /যা -যা পেয়েছি সেসব অবহেলাই হারিয়ে নিজের ভবিষ্যত -জীবন টা ভালোবাসাবিহীন ভাবে একা করাটা ফালতু ! আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এমন কয়েকজন মানুষ আছেন যারা আমাদের সত্যি ভালবাসেন ...কিন্তু ,এই ধরনের মানুষের সংখ্যা আবার আমাদের জীবনে হাতে গোনা ...তাদের কক্ষনো হাত থেকে যেতে দিতে নেই ,তাদের হাত শক্ত করে বেঁধে রাখতে হয় নিজের হাতে ভালবাসার বাঁধনে ...সেই বন্ধন যেন কখনো কোনো কিছুর বিনিময়েই আলগা না হয় ,আর তাহলেই আমরা literally always feel করতে পারব --- LOVE is in the air...!!!
;-)