Powered By Blogger

Sunday, October 18, 2015

আমার গিটার-শেখা







আরে,দাঁড়ান ! দাঁড়ান !..এই post -এর heading টি পড়ে আর উপরে আমার এই guitar কোলে ছবিটি দেখে যদি ভাবেন যে আমি খুব ভালো গীটার বাজাতে পারি তবে খুবই ভুল করছেন  কারণ খুব ভালো তো দূর অস্ত,দাদা..আমি গিটার সামান্যতমও বাজাতে পারি না !!! তবুও কেন লেখার এই নামকরণ ? ---আরে ভাই,সেটা জানাতেই তো আজ কলম ধরা ।                                                                                                        সরাসরি বিষয়ে যাওয়ার আগে কিছুটা 'গৌড়চন্দ্রিকা' এখানে আবশ্যক ; তার কারণটা পরে বলছি। ছোটবেলা থেকেই আমি drawing আর handicraft-এ ঠিকঠাক মানে ঐ মোটামুটি 'কাজ চলে যায়'- type ছিলাম। school এর prize এ পাওয়া অবন ঠাকুরের 'আপনকথা' পড়ে interest যায় 'কাটুম-কুটুম' বানাতে। বানিয়েও ফেলি কয়েকটা । কিন্তু ,আমাদের বাড়িতে আমার জন্য রঙ-তুলি-drawing paper আসার আগেও যেটা সবার আগে এসেছিল সেটা হল --- 'কাঞ্জিলালের ১নং বাঁশির' চড়াপাতের হারমোনিয়াম । আমার মা রীতিমতো trained সুগায়িকা । তাই তিনি  হইতো নিজের একমাত্র মেয়ের মধ্যেও সেই নিজেকেই আরো ভালো ভাবে দেখতে চেয়েছিলেন । আর আমার গলাই 'মা সরস্বতীর বাহন' না ডাকলেও যে 'মা সরস্বতী' স্বয়ম ভর করেছিলেন এমনটাও নয় । আর আমার গানের মাস্টারমশাই মনে করতেন (মুখে এবং হাবে-ভাবে প্রকাশ করে ) --- এত বড় পৃথিবীতে গানটাই একমাত্র সাধনার জিনিস আর বাকিগুলো.......(আর না বললেও চলে !) । তাই,ওইটুকু বয়স থেকে রোজ সকালে উঠেই শুরু হত সুর সাধনা ..কোনো কোনো দিন সন্ধ্যেতেও চলতো practise আর তার সাথে সাথে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে গানের class-এ যাওয়া (কোনো কোনো দিন ইচ্ছে না করলেও !),মাস্টারমশাই -এর কাছে কোনো কোনো মাসে পরীক্ষা দেওয়া,কোনো দিন সামান্যতমও কিছু ভুল হলে এক ঘর ভর্তি ছেলে-মেয়েদের সামনে বকুনি, হাতে/পায়ে তাল দিয়ে তবলার সাথে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাওয়া অভ্যেস,function & competition -এ গান গাওয়া সেখানে কৃতকার্য না হলে কৈফেয়ত দেওয়া আর বত্সরান্তে গানের 'annual' পরীক্ষাই বহিরাগত examiner-এর সামনে গান গেয়ে এবং 'theory' মুখস্থ বলে/লিখে '1st class with distinction' পাওয়া ! --- এসব করতে করতে এতটাই তিতিবিরক্ত হয়ে গেছিলাম যে আমি একটু বড় হয়ে চিরকাল মা-এর বাধ্য আমি 'last year' এ গানের পরীক্ষার form fill up করেও পরীক্ষা দিতে বেঁকে বসেছিলাম...এমনকি তবলার সাথে প্রাকটিসে পর্যন্ত যাইনি  আর অমন দুঁদে মাস্টারমশাই অব্দি নারাজ আমাকে নিজে থেকে আমার বাড়ি বয়ে এসেও আমাকে বুঝিয়ে রাজি করাতে পারেননি  আর শেষ অব্দি আমি ওনার একটা কথাও  কানে না  তুলে পরীক্ষা না দিয়ে আমার সমস্ত ক্ষোভ বোধয় আমি এইভাবেই উগরে দিয়েছিলাম...আর কোনো দিন গানের স্কুলমুখও না হয়ে যেন আমি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম  আর বিশ্বাস করুন ওই ঘটনার জন্য আমার আজও কোনো অনুশোচনা তো হয়ই না  উল্টে এখনও মজা লাগে । আসলে তখন অত তলিয়ে না ভাবলেও আজ বুঝি --- নিয়মের অত কড়াকড়ির জন্যই অনিয়মকে আমি বেছে নিয়েছিলাম । ভালো গান আমি খুব ভালবাসি,গাই ও খুব একটা খারাপ না হইতো [at least , better than any 'bathroom-singer' ;-) ]তবু এতদিন পরও 'হারমোনিয়াম' নামক যন্ত্রটিকে  আমার এখনও পোষায় না ! কিন্তু তবলা টা আবার পোষায় এবং খুব ভালো ভাবেই পোষায় (না শিখলেও মাঝেমধ্যে দাদরা-কাহারবা-ত্রিতাল এসব বোল ধরে ধরে বাজাবার চেষ্টা করেও দেখেছি ) কারণ  আমি খুব ছোট্টবেলা থেকে মাধ্যমিকের syllabus হাতে পাওয়া অব্দি চন্ডীগড় ঘরানায় 'কথ্থক' শিখেছি যাতে তবলা আর ঘুঙুর --- এই দুটোরই দরকার পরে । আসলে,প্রভাকর ঘরানা অনেকটাই চাপের হওয়াই আমার খুব প্রিয় আর অসম্ভব talented এবং সুন্দরী নাচের দিদিভাই-এর classical dance এর ঘরানাকেই আমার জন্য বেছে দেওয়া হয়েছিল সেই সময়..class-IX -এ ওঠার পর কেউ আমায় আমার নাচ ছাড়তে বলেনি...আমি নিজেই ছেড়েছিলাম নিজের পড়াশুনার তাগিদে...তবে আজ আফশোস হয় এই ভেবে যে  সেদিন না ছাড়লে আজ হইত এটাতেও পুরো course টা complete করে অনেক দূর এগোতে পারতাম এটা নিয়েও ! এখনও miss করি --- তবলার তালের বোলে এক পায়ে ৫০০ অন্য পায়ে ৫০০ ঘুঙরু দিয়ে তৈরী একেকটা  ঘুঙুর  দু  পায়ে  বেঁধে পা মেলানো...'প্রণামী' দিয়ে শুরু করে 'তেহাই' দিয়ে শেষ। হারমোনিয়ামকে যতটা অপছন্দ করি ঘুঙুর দুটোকে ঠিক ততখানিই বোধয় ভালবাসি {যদিও সবথেকে বেশি ভালবাসি আবৃত্তি করতে যেটাতে trained আমি nursery থেকে  University অব্দি regular করে করে অল্প-বিস্তর প্রশংসাও কুড়িয়েছি ! --- কিন্তু, এক্ষেত্রে দরকারী  শুধু 'গলা/কন্ঠ' ---যেটাকে 'বাদ্যযন্ত্র' বলা চলে না তাই এই নিয়ে বিভিন্ন ঘটনার ঘনঘটা যেমন-ছোটবেলায় কোরাস recitation-এ stage-এ আমার lines ভুলে যাওয়া ইত্যাদি---আজ নয়, আরেকদিন লিখব'খন !}

বাদ্যযন্ত্র নিয়েই যখন কথা হচ্ছে তখন মূল বক্ত্যব্যে যাওয়ার আগে আরো কিছু ছোট্ট-মিষ্টি ঘটনার কথা না বললেই নয় --- জানেন তো , আমি নাকি হাটতে এবং কথা বলতে শেখার আগের বয়সগুলোতে আমার রাঙাদার কার্তিক পুজোর মেলা থেকে কেনা ঢোলের বাদ্যি না শুনে আর সেই সাথে তার লাফিয়ে লাফিয়ে নাচ না দেখে কান্না থামিয়ে খেতাম না !আজ লিখতে বসে এটাও মনে পরে গেল হটাত ! পরে ভায়োলিন ,মাউথঅর্গান, বাঁশি ,ড্রাম,কিবোর্ড,শিস দিয়ে গান গাওয়া ---এগুলোর প্রতিও আগ্রহ ছিল।আগ্রহ ছিল school-sports-এর band-partyর প্রতিও কিন্তু তাতে chance পাওয়ার জন্য অমন বদমেজাজি sports-teacher কে approach করতে সাহসে কুলায়নি আমার এবং আমার মত আরও অনেকেরই ! college এ পড়ার সময় আমার খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবীটি একে অপরের প্রেমে পড়ল ; দুজনকেই খুব কাছ থেকে চেনা আমি জানতাম আমার বন্ধুটি তার দাদার থেকে একটু-আধটু বাঁশি বাজানো শিখেছে আর খুব অদ্ভুতভাবে এর সাথে মিল রেখে বান্ধবীটির আবার বাঁশি বাজানো শেখার শখ ছিল কিন্তু এদের দুজনের কাছেই দুজনের এই ব্যাপারদুটো সম্পূর্ণ অজানা ছিল ! তাই আমি আমার বন্ধুটিকে তার সদ্য হওয়া প্রেমিকাকে একটি বাঁশি উপহার দিতে বলি... after all 1st gift বলে কথা..যেমন-তেমন হলে কি চলে বলুন ?!? {এর বদলে আমার এক cup coffee প্রাপ্য ছিল as my advice-treat যেটা আমি আজ অব্দি পেলাম না  :-( } আমার একটা একতারা কেনার শখ ছিল যেটা বছর দেড়েক আগে শান্তিনিকেতনে গিয়ে পূরণ হয়েছে ; ওটা আমার খুব প্রিয় ; দুদিকের দুই বাহুতে চাপ দিয়ে একই সাথে মাঝের তারটি নেড়ে বাজানরও একটু আধটু চেষ্টাই  আছি । সেই সাথে সাথে জয়্সালমির-এর 'সোনার কেল্লা' থেকে কেনা 'তাম্বুরা'টাও ওটার ছড়াটা দিয়ে বাজাতে চেষ্টা রি...যতটা পারা যায় নিজে নিজে আরকি । {ইচ্ছে ছিল একটা বাদ্যযন্ত্রের collection বানানোর যেটা এখন পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি !}
এইযে এতগুলো বাদ্যযন্ত্রের সাথে নিজের ছোটখাটো নানান সম্পর্কের কথা বলছিলাম এতক্ষণ ধরে সেটা নিজের ঢাক পেটাবার জন্য নয় । সেটা এটা বোঝাবার জন্য যে ওগুলোর সাথে আমার direct & active relation ছিল যদিও আমি '..master of none' তবু সম্পর্কযুক্ত তো ; ওগুলোকে আমি ধরে ছুয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতে পারি ; কোনো 'long distance relationship' এর ব্যাপার নেই এক্ষেত্রে কিন্তু গিটারের সাথে আমার সম্পর্ক বলতে - বাড়িতে বটুক নন্দীর গিটারের ক্যাসেটে 'ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস..' আর ছোটোবেলায় গ্রামের বাড়িতে আমাদের এক দুঃসম্পর্কের মামার ব্যবহৃত পরিতক্ত্য গিটারটির দিকে মাঝে মধ্যে চেয়ে থাকা ...ব্যাস ওই পর্যন্তই ! তবুও জানি না কেন গিটারের প্রতি সেই সদ্য কিশোরী বয়স থেকে কিসের এত টান আমার । specifically বলতে গেলে attraction না বলে obsession বলাই ভালো তবে সেটা আবার acoustic guitar -এর প্রতি , electric এ চলা guitar এর প্রতি কিন্তু নয় যেটা আমাদেরই এক প্রতিবেশী বাজানো শেখাতেন তাই যেটা শেখা আমার পক্ষে আপাত সহজ ছিল কিন্তু সেটাতো আমি শিখতে চাইনি...শিখতে চেয়েছি acoustic guitar  আর তাই দুধের বদলে ঘোলে তেষ্টা মিটিয়ে কোনো compromise করতে চাইনি আমি কারণ তখনও গান শেখার অভিজ্ঞতা আমার মনে জ্বল-জ্বল করছে ! 
তো সেইমতো গন্তব্য স্থলের dress-code maintain করে সাদা পোশাক পরে গেলাম 'কৃষ্টি' তে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের ক'দিন পরেই কোথাও বেড়াতে না গিয়ে, প্রায় ১টা দিন ও সময় নষ্ট না করে 'do it now or never' ভেবে --- 
"এটা শিখতে কিন্তু অনেক dedication লাগে ; অনেক সময় প্রথম দিকে আঙুল ছড়ে গিয়ে রক্ত পরে ;হাতে কড়া ও পরে যেতে পারে !" --- ভদ্রলোক একবার আমার রক্তাভ সরু সরু আঙ্গুলগুলোর দিকে আরেকবার আমার ১৫ বছর বয়সের তুলনায় immature মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন । ব্যাস,হয়ে গেল  ! সেই confident আমার প্রথমবার গিটার নিয়ে 'বোমকে' যাওয়ার শুরু এবং তার শেষ আজ অব্দি হল না । ততদিনে উচ্চমাধ্যমিকের private-tuition শুরু হয়ে গেছে ;ভাবলাম এমনিতেই science -এর চাপ অনেক --- সবাই বলে তার মধ্যে অত dedication দিয়ে কি practise করতে পারব ? --- না পারলে তো ফালতু গিটার টা কিনে তাতে ধূলো জমিয়ে লাভ নেই ;বাড়ির লোকজনের বকুনিও খাব ; থাক বরং এখন ; Higher Secondary র পর অনেকদিন পাব শেখার ,তখনি নাহয়...
কেটে গেল আরো ২টো বছর ; কিন্তু অদ্ভুতভাবে সে বছর Joint Entrance Examination-এর question-out হয়ে গেল ; exam টা পিছিয়ে গেল প্রায় 1 month ; সব সময়ের  বিপরীত হওয়ার পন্থী আমি কখনই কারিগরিবিদ্যা (engineering) কিংবা চিকিত্সাশাস্ত্র (medical)শিখতে/জানতে চাইনি তাই ওই পরীক্ষা যে আমার কাছে খুব important কিছু একটা ছিল এবং তা নিয়ে যে আমার বিশাল উত্সাহ ছিল তা তো নয়ই কিন্তু বাড়ির লোকজন specially বাবাকে তখন যদি বলতাম যে এই সময়টাই গিটার শিখতে চাই সেটা বাড়ির পরিবেশ এবং আমার পক্ষে খুব একটা শান্তিদায়ক বোধয় হত না ! আর এরপর আরও আশ্চর্যজনক ভাবে খুব তাড়াতাড়ি মাধ্যমিকেরও result এর আগে বেরল আমাদের HS এর result যার ঠিক ১-২দিন পরই ছিল আমাদের JEE  ! ব্যাস ,এরপর শুরু হল college এ ভর্তির  প্রস্তুতি ;আর শুরু হল সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা 'মহানগর'-এ একলা আমার  নতুন জীবন যাতে সেট হতে অনেকটাই সময় অপচয় হয়েছিল আমার ;আমাদের অনেক batch mates, seniors ,juniors রা গিটার বাজাতে পারত কিন্তু প্রথমবার কোনো non-celeb মেয়েকে গিটার বাজাতে আমি দেখি আমাদের  department এ আমাদেরই freshers' welcome এ ; লালপেড়ে ঘিয়া শাড়ি আর এক পিঠ খোলা চুলের multi-talented ঐ senior দিদিকে গিটার বাজিয়ে ''আমার ভিতর বাহিরে...'' গায়তে দেখে নতুন করে প্রেমে পরলাম গিটারের থুড়ি গিটার বাজিয়ে গান গাওয়ার ! আগে গিটার বাজিয়ে একমাত্র নিপবিথী ঘোষকে গায়তে শুনেছিলাম আর তখন শুনতে শুরু করেছি বিভিন্ন band ,কবীর সুমন ,অঞ্জন দত্তের গিটার আর গিটারের গান আর তারও অনেক পরে অনুপম রায়,সোমলতা আচার্য ! আমাদের Presi -এর মাঠ,ক্যান্টিন,'ট্যান্ক','কোআডড়ি',Geo-Rock etc. কোথাও যদি কাউকে গিটার বাজিয়ে গায়তে শুনেছি একবার অন্তত ফিরে তাকিয়েছি ; না,গিটার বাজানো ছেলেটির প্রেমে পরে অথবা গিটার বাজানো stylish মেয়েটিকে আমার থেকে দেখতে বেশি ভালো কিনা তা দেখতে নয়..এটা দেখতে - "তুমি কেমন করে গান কর হে গুনী..." । কোথাও কাউকে গিটার শিখতে যেতে দেখলে অথবা  কোনো  অনুষ্ঠানে কাউকে বাজাতে দেখলেই আমি এমন লাফালাফি জুরতাম যে বাকিরা চমকে যেত আর আমার বুকের মধ্যে সঞ্জয় লীলা বনশালীর 'দেবদাস'-এর সেই 'ইশশশশ...' এর ফানুশটা দীর্ঘশ্বাসের মত উঠত যাতে ছিল অনেকটা ভালো লাগা আর কিছুটা নিজের অক্ষমতার আক্ষেপ যেটা আমার family আর friends দের কারোরই অজানা ছিল না আর ! এমনকি youtube এ চেনা কারোর গিটার বাজানোর video পেলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর data খরচ করে অনেকবার দেখেছি ,fb তে অব্দি কেউ গিটার বাজাতে পারে জানলেই [গিটার নিয়ে তোলা profile-picture দেখে অনুমান করে আর কি ! :-D] আমার interest বেড়ে গেছে তবে সেটা তার প্রতি যতটা না তার গিটারের প্রতি অনেক বেশি ,চেনা যারা  বাজাতে জানত তারা অনেক ভালো  suggestion ও দিত  এমনকি নিজে থেকেই  শিখেছিল এমন একজন তো আমাকে তার মত Internet দেখে নিজে নিজে শেখার পরামর্শও দেয় !!! Graduation এর পর 'রঞ্জনা আমি আর আসব না'তে 'রঞ্জনা' কে  দেখে আবার নতুন করে কোন গিটার কিনব,কোথা থেকে কিনব সেটা যাদের সাথে যাব কিনতে তাদের সাথে কথা বলে ঠিক ও করে ফেলেছিলাম এমনকি যেখানে শিখতে ভর্তি হব সেখানে ('প্রতিচী'তে)প্রাথমিক কথাও বলে এসেছিলাম  কিন্তু তখন আবার কলকাতাই Post Graduation করতে ভর্তি হব নাকি অন্য কোথাও সেটা ঠিক না থাকাই গিটার শেখা আর শুরুই  হইনি কখন !!! আর তার পর থেকে এখন অব্দি এমনি অবস্থা দিয়ে যাচ্ছি যে নিজের জন্যই সময় হয় না তো গিটার...!!! গিটারের প্রতি আমার এই zeal দেখে আমার বাবা যিনি কিনা আজীবন পরাশুনাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন তিনি অব্দি আমাকে শিখতে বলেছিলেন ! কিন্তু ,ওই...বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন পরিস্থিতি...!!! 
আগে ছিল school এর দেয়াল-পত্রিকা ,school-magazine, বিভিন্ন little magazine , college-magazine এ লেখা,নানান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা,নিজেদের Departmental magazine এর editorial লেখা আর তারপর এল blogspot,wordpress etc. তে blog লেখা ; আগে ছিল orkut যেটাতে আমি থাকলেও খুব একটা active কখনই ছিলাম না  কিন্তু active কেন super-active হলাম fb তে ,twitter, google plus এ আর সেই সাথে photography এর নেশা শুরু হল...ঠিকই  ধরেছেন নেশাই বটে --- একটা ছবিতে একটা মূহুর্তকে ক্যামেরাবন্দী করে একটা আস্ত গল্প বলার নেশা  ...এতদিন শুধু fb ছিল এবার profile তৈরী হল flickr,instagram -এ কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও,এত পরিবর্তনের মধ্যেও আমার সেই 'ছোট্টবেলার প্রেম' কে ভুলতেও পারিনি আবার পেতেও পারিনি [হইতো কিছুটা নিজের দোষেই নিজের গাফিলতির জন্যই !] ; আমার  মতো অনেকেরই প্রথম প্রেম হইত গিটার  পার্থক্য এটাই যে তারা পেরেছে সাহস দেখিয়ে নিজের ভালোবাসকে নিজের মত করে জিতে নিতে..coward আমি পারিনি.."যেটা ছিল না,ছিলনা-সেটা না পাওয়াই থাক /সব পেলে নষ্ট জীবন..!!!" গুনগুনিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছি কারণ সবসময় মনে হয়েছে যদি সব্যসাচীর মত দু'হাত সমান চালিয়ে একে আপন করে নিতে না পারি তাহলে যে -স্বপ্নে গিটার বাজিয়ে গান গাইতে পারা নিজের কাছে নিজেই হাস্যকর হয়ে যাব !!!...না-জানার তুলনায় না-পারাটা আমার কাছে অনেক বেশি লজ্জার ।
যদি জিগ্গেস করি --- আপনাদের কাছে 'most romantic' কোন সিনেমার কোন দৃশ্য জানি অনেকেই অনেক কিছুই বলবেন কিন্তু এত এত ভিন্নধর্মী movie দেখেও আমার কাছে most romantic হল একটি South Indian সিনেমার সেই দৃশ্য যেখানে সিনেমার hero তার heroine কে রীতিমতো কোলে বসিয়ে পরম যত্নে গিটার শেখাচ্ছে ; না, hero-heroine এর intimacy র জন্য নয়..গিটার টিকে এখানে romanticism এর prop হিসেবে use করা হয়েছে বলে । 

আমার কাছে guitar একটা আনকোড়া জীবন্ত শরীরের মতো যার গনগনে আঁচে আমার আর পোড়া হল না কখনও !!! সিনেমার মতো বিশেষ কারোর বাহুলগ্না হয়ে নাহয় নাই শিখতে পারলাম গিটার কিন্তু guitar কে নিজের বাহুলগ্ন করেও গেয়ে উঠতে পারলাম না --- "आरे इयारों,दोस्ती बड़ी ही हसीन हैं...!!!"
নাহ ! Miss Sarkar, এ-'জম্মে' তোমার আর guitar শেখা হল না ।


Saturday, October 10, 2015

"উদযাপন"

ঋতু-প্রধান কবিতা ;
নির্মাণে --- শ্রীজাত 

পুজোর প্রেম :-> 

Friday, October 09, 2015

Tuesday, October 06, 2015

প্রেম যখন প্রহসন !

ঘটনা নং ১ :
                  স্থান-ব্যারাকপুর স্টেশন ;তারিখ-ক্যালেন্ডারের যে কোন এক কর্মব্যস্ত দিন ; সময়-ঘড়িতে সাধারণ মানুষের কাজে বেড়বার সময় ;

শিয়ালদহগামী  ট্রেন এর  লাইন -এর  দুপাশের  প্লাটফর্ম  ভীড়ে  গিজগিজ  করছে । না , এটা  ট্রেন  ধরার  ভীড়  নয়  ...এটা  হল  তামাশা  দেখার  ভীড়। বছর  ২৬-২৭ এর  এক যুবক  ট্রেন  ছাড়ার  ঠিক  আগে  রেললাইন এ  ট্রেন -এর  সামনে  বসে  পরায়  ট্রেন  ছাড়তে  পারছে  না।  আর  ট্রেন  late করায়  বিনা  দোষে suffer করছে  ভীড়ঠাসা  ট্রেন -এর  যাত্রীরা  !!! ছেলেটির  কানে  মোবাইল   ... আর  ফোনের  অন্য প্রান্তে  হয়  তার  'প্রেমিকা ' (!!!) উত্তর  দিচ্ছে  না  অথবা  দিলেও  সেটি  এই  'বিপ্লবী ' প্রেমিকের  মনঃপূত  হচ্ছে  না  !!! কিছু  অত্যুত্সাহী  যাত্রীর  সময় -কাটানোর 'চেষ্টাই ' জানা  গেল  --- অন্যপক্ষ  প্রেমে  রাজী  নয়  অথবা  আর  সম্পর্ক  রাখতে  নারাজ  ...তাই  ট্রেন লাইন -এ  ট্রেন -এর  সামনে  বসে  suicide -এর  হুমকি  দেওয়া  চলছে  !!! অন্যপক্ষের  মানসিক  অবস্থার  কথা  তুলছি  না  কিন্তু  এই  so called  মহান  প্রেমিকের  এহেন  আচরণে  তৃতীয়পক্ষ  মানে  বেচারা  ট্রেনযাত্রীদের  condition যারা  ভীড়ঠাসা   local  train  এ  কখনও  যাতায়াত  করেছে  তারা  বোধ  করি  বিলক্ষণ  বুঝতে  পারছে  !!!

ঘটনা নং ২ :

                  
                এক   IAS Officer -এর  suicide এর  খবর  বেড়িয়েছে  'আনন্দবাজার ' -এ  ... বিবাহিতা সহকর্মীর  প্রতি  প্রেম ,তার  প্রকাশ  এবং  খুবই   obvious ভাবে প্রতিদানে  ভালবাসা  না  পাওয়ার  জেরেই  নাকি  এই আত্মহত্যা  ... অন্তত  কারণ  হিসেবে  তো  news -paper -এ  সেটাই  বলা  হয়েছে   ... আর  suicide-note এও  শুধুমাত্র  সেই  না  পাওয়া  প্রেমের  জন্য  আক্ষেপ   ...তাও  সেই  মহিলার  প্রতি  ...ব্যাস  ...family -relatives -friends  কারোর  জন্য   একটাও  extra শব্দ  খরচ  করেননি  ভদ্রলোক  !!!



[দুটো ঘটনাই সম্পূর্ণ সত্য। কোন কল্পনার আশ্রয় এখানে নিইনি আমি।]

প্রথম ঘটনার 'hero' নাহয় অল্পবয়সী এবং স্বল্পশিক্ষিত কিন্তু দ্বিতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে তো তা নয়। দেশের প্রশাসনিক বিভাগের এত বড় দায়িত্বে - এ থাকা  একজন পরিণত মননের উচ্চশিক্ষিত মানুষের থেকে কি এই কাজ সত্যিই কাম্য  ?
মৃত্যুর ভয় দেখানো এবং মৃত্যুকে বেছে নেওয়া  ...কেন ? না , just because কেউ একজন ভালোবাসেনি বলে কিংবা cheat করেছে বলে অথবা ভালবাসার সম্পর্ক আর রাখতে চায় না বলে !?! তার মানে তো আমার বাঁচা-মরা depend করছে আমার প্রতি তাদের ব্যবহারের উপর যাদের কাছে আমি 'not so important' ...আর তাই যদি হয় তাহলে যার/যাদের কাছে আমি সত্যি important তার/তাদের এবং সেই সাথে অবশ্যই নিজের importance টা আমার নিজের কাছে কোথায় আর ঠিক কতটা ?!?

এই রকম ঘটনা তো এখন প্রাত্যহিক।
মনের সত্যিকারের feelings থাকুক ছাই না থাকুক ,তার স্থায়িত্ব এবং গভীরতা থাকুক অথবা না থাকুক 'প্রেম' তো করতেই হবে। relationship status এ ' in a relationship with ' অমুক নাহলে  যে 'status' বজাই থাকে না boss  ...fb তে likes 250 তে গিয়ে পৌঁছাই না  ...week-end -এ shopping-mall-এ ঘোরা হয়না  ...এরম  আরো কতইনা বড় বড় 'ক্ষতির' সম্মুখীন হতে হয় তার কি ইযত্তা আছেরে পাগলা  !!!

লক্ষ্য করলে দেখা যায় - যে বেশিরভাগ মানুষ অন্য মানুষদের থেকেও বেশি প্রেমে পরে 'আদর্শ প্রেম' নামক এক controversial idea -এর যা বাস্তবে সম্ভব হয় না  ....serial -cinema আর গল্প -উপন্যাস অব্দি যার দৌড় ! আর সিনেমাগুলোও হয়েছে ঠিক তেমন,specially নব্বই দশকের কিছু romantic movie  ...cinema -এর প্রথমে নায়ক খুব বড় মুখ করে বলে --- "हम एकबार जीते हैं ,एकबार मरते हैं  ... प्यार एकबार ही होता हैं और शादीभी हम एकबार ही करते हैं  !!!" এবং সিনেমার শেষে সেই ভদ্রলোকই দ্বিতীয়বার প্রেমে পরে বিয়ে করেন  ...তাও কাকে ? ...না, সেই সুন্দরী মহিলাকে যাকে একসময়  তার 'tomboy'image-এর জন্য বাতিল করেছিলেন  !!! তবুও সিনেমা হিট  ...তবুও  ...এই ধরনের সাফল্যপ্রাপ্ত romantic cinema-এর হিরোর  নাম  অনেকেই (বিশেষত মেয়েরা )খুব সহজেই without any help বলে দেবেন অথচ  মেয়েদের হকি খেলা নিয়ে তৈরী ছবি 'chak de India' তে  main lead শাহরুখ খান অভিনীত হকি কোচ -এর চরিত্রটির নাম জিজ্ঞেস করে দেখুন তো কজন এক chance-ই খুব সহজেই বলতে পারে  ?!? আসলে romantic movie ভালবাসার ক্ষেত্রে মানুষের অবান্তর expectation বড়িয়ে দেয়  যার প্রভাব সমাজ ব্যবস্থার উপর খুব সহজেই পরে !!!

একজনকে একবার বলতে শুনেছিলাম  কোন মেয়েকেই নাকি সে দেখেনি যে 'single' থাকতে চায় (বলা বাহুল্য যে গুটিকয় মেয়েকে দেখেই সে এই ধারণা তৈরী করে নিয়েছিল !) ...অথচ  সেটা থাকলে কি এমন ক্ষতি হয় তা সে জানে না ইত্যাদি ইত্যাদি কিন্তু যখন সে নিজে 'single' condition -এ এলো তখন আর কিছুই না পেয়ে শেষমেষ একটি matrimonial site -এ নিজের profile খুলল  ...তবে তা বিয়ের জন্য নয়...'mingle' হওয়ার জন্য !!!
আরেকজন তো আরো সরেস...সে খুব সহজেই একা থাকতে পারে কিন্তু এজন্য তার  'flirting' নামক রসদ চায়...যেন-তেন-প্রকারেণ অপরপক্ষকে সে ব্যাপারে completely unknown রেখে অন্যের valuable সময় অহেতুক নষ্ট করিয়ে,তাকে তারই অজান্তে 'timepass material' -এ convert করে একমাত্র নিজের 'good time' spend করে নিজেকে 'happy' রাখার এক নোংরা,অসুস্থ এবং আত্মসর্বস্ব মানসিকতা  !...এখানে,কার 'gf ' যে কার 'bf '-এর সাথে আর কার 'bf' যে কার 'gf '-এর সাথে 'friends with benefits'-এর উপর 'just friends'-এর তকমা এটে কে যে কাকে ঠকাচ্ছে সেই 'cross-connection'-এর জিলিপির মতো প্যাঁচালো ধাঁধার সঠিক সমাধান একমাত্র 'ব্রম্হা জানেন...'!!! ---এই শ্রেণীর ক্ষেত্রে 'demand' এর চেয়ে 'supply' বেশি থাকায় (পড়ুন-desperate হয়ে বেশি 'supply'এর ব্যবস্থা এরা করে নিতে পারায়) মোটা-চামড়ার যথেচ্ছাচার খুব easy হয়ে ওঠে যা কিনা এদের নিজেদের কাছে খুবই অহঙ্কারের !
আরকটি 'great lover'শ্রেণীর mental state --- always 'confused' (সেটা অবশ্য natural নাকি নিজেকে safe guard দেওয়ার চেষ্টা সে ব্যাপারে বাকিরা confused !)...mental stability না থাকায় এরা লাল রঙ দেখে ক্ষেপে ওঠা পাগলা ষাড়ের মতো  কখনও এ(র)দিকে ছোটে তো কখনো ও(র)দিকে আবার কখনও অন্য আরেক দিকে...মানে এরা এতটাই versatile এই particular একটি ব্যাপারে যে একই সময়ে একই সাথে multipurpose দিক (পড়ুন,বিভিন্ন মানুষকে)easily manage করার ক্ষমতা রাখে...এদের নিজেদের দেওয়া commitment,seriousness & honesty-এর দাম এরা নিজেরাই দিতে জানে না সে এদের কথায় ভুলে এদের উপর বিশ্বাস করে কেউ যতই suffer করুক না কেন ! এদের "..কোনটা আসল,কোনটা নকল/কোনটা শুধুই জবরদখল.."---এরা নিজেরাই জানে না ; তাই এরা 'আজ চালক' আর 'কাল বোকা' সেজে confusion কাটাবার সব প্রশ্নের উত্তরে 'জানি না !' বলে বিশাল একটা দুঃখীমার্কা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সেটাকে এড়িয়ে গিয়ে 'মহৎ প্রেমিক ন্যাকা-ন্যাকা' সেজে থাকে !!!
আরেকটি প্রবণতাও এক্ষেত্রে খুব দেখা যায়  --- একটা relationship থেকে বেরতে না বেরতেই anyhow অন্য আরেকটিতে ঢুকে পরা  ...কাউকে আঁকড়ে থেকে 'feel good '-এর  বদভ্যেস বশত  ...সে দুজনের compatibility মিলুক ছাই না মিলুক...ফলবশত 'चार दिनकी चाँदनी' type -এর  ব্যাপার...দুদিন পর একে অপরকে অথবা কোন একজনের অন্যজনকে পোষাচ্ছে না....তারপর সেটাকে কিছুদিন কোনো ভাবে ভালো না লাগলেও বয়ে বেড়ান...একটা সম্পর্ক থাকতে আবার একটা সম্পর্ক...কাদা ছোড়াছুড়ি...then আবার আরেকটা break-up !!! 
প্রথম-প্রথম যে 'সুপারসনিক' বেগে নিজেদের দিকে ছুটছে তার ক'দিন পরই শরীর/মন/মস্তিস্কের দরকার মিটে গেলে ঠিক তারই দ্বিগুণ গতিতে একে অন্যের বিপরীতে পালাতে শুরু করছে ...তাও, daily-routine-এ খিদে-ঘুম এর মতো 'প্রেম' পেতেই হবে ?!? --- এই তো চলছে এখন দিনের পর দিন...ক্ষেত্র-বিশেষে মানুষের উন্নতির সাথে সাথে এসবের পরিমাণ বেড়েই চলেছে ক্রমশ...!!!
প্রেম কখনও একা আসে না ,দু'টি সম্পূর্ণ আলাদা মানুষের দু'খানি ভিন্ন মনের এক হওয়ার সাথে সাথে নিয়ে আসে নানান জটিলতা...কখনো তা তাদের নিজেদের মধ্যে তো কখনো তাদের নিজেদের সাথে অন্যদের ...পৃথিবীতে বারে বারে আসা প্রেমের গল্পগুনো আলাদা,যদিও maximum ক্ষেত্রেই problems থাকা common কিন্তু তার রূপ খুব স্বাভাবিক ভাবেই আলাদা মানুষগুনোর মতোই প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কিন্তু প্রতিটি গল্পই আবার তাদের মালিক-মালকিনদের কাছে (মানে couple দের কাছে ) নিজেদের মত করে নিজ গুনেই special আর ঠিক একই ভাবেই special তাদের relation তাই সম্পর্কে কোনো সমস্যা থাকলে সময় নষ্ট না করে একান্ত আন্তরিক প্রচেষ্টাই তা মিটিয়ে নিয়ে একসাথে এগিয়ে চলা উচিত দুজনের যতদিন সম্ভব আর যতদূর সম্ভব...কিন্তু  গোড়াতেই গলদ থাকলে চিড় ধরতে বাধ্য আর সেই ফাটল মেরামত করাও just next to impossible !!! ...সেক্ষেত্রে সরে আসাটাই সবদিক থেকে ও সবার দিক থেকেই বান্ছনীয় ।

এখনকার বেশিরভাগ প্রেম অনেকটা বাঙালীদের দুগ্গাপুজোর মত হয়ে দাঁড়িয়েছে --- যতক্ষণ আসব-আসব করছে ততক্ষনই ভালো  ...একবার চলে এলেই 'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ /ঠাকুর যাবেই  বিসর্জন '-এর বাদ্যি বাজতে শুরু করে দেয় আর ঠিক তার পরপর 'আসছে বছর আবার হবে ' বলে পরের বারের প্রস্তুতি !!!

আমি প্রেম-বিরোধী কোন দিনই নয়  ...কিন্তু ভালবাসা যখন তার স্বছতা হারায় ,যখন অন্যের যন্ত্রণার কারণ হয় তখন কারণবিহীন ভাবে যার /যাদের  জন্য সেটা হচ্ছে তাকে /তাদের  আমি ঘেন্না করি। অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি খুঁজতে খুঁজতে খোদাকে পাওয়া সোজা তবু একজন genuine  মানুষ খুঁজে পাওয়া আরো কঠিন  ...এদের সংখ্যা এতটাই কম তাই ভালবাসাই ভেজালের পরিমাণটা এতটাই বেশি  !!! তাই  আজ  ভালবাসার  বিপণন  চলছে  বিভিন্ন  international public 'special day'গুলোতে  কোটি কোটি টাকার 'অপ্রয়োজনীয়' gift বিক্রীর মাধ্যমে  ...আর ভালবাসা  না  পেলে চলছে প্রতিহিংসা মেটাবার খেলা  !!!

special মানুষটিকে  special feel করানো দোষের কিছুই নয়  ...বরং সমাজবদ্ধ জীব মানুষের পক্ষে ভালবাসার লেনদেন করতে চাওয়াই খুব স্বাভাবিক  ...আর সেটা করাও উচিত  ...কিন্তু যে attention আমরা এক্ষেত্রে দিয় ,যে টাকা আমরা এর পেছনে খরচ করি তার  1%  ও  যদি আমরা কিছু সত্যিকারের 'needy' মানুষের  প্রয়োজনে খরচ করি তবে ভাবতে পারেন গোটা পৃথিবী থেকে অসাম্য কতটা কমবে।

এত গেল যারা সত্যিকারের ভালবাসা পেয়ে সত্যি সুখী তাদের জন্য এবার আসি তাদের কথাই যারা বলে --- '...এমন কোন মানুষ খুঁজে পেলাম না যার মন আছে  ...!!!" ....যারা ভাবে --- "ভালবাসা আসলে হরমনের খেলা ,বোকারা বলে -প্রেম " ...অথবা  তিক্ত ঘটনাগুলো থেকে যাদের মনে হয়েছে  --- "কি আর বলিব বল সখী  ...জানি  প্রেম -টেম সবই বুজরুকি  ..." আর যারা ''একলা মানুষ মাতৃগর্ভে ,একলা মানুষ চিতাই  আর বাকী সময়টা একলা না থাকার অভিনয়" ভেবে  "একলা চলো  রে "-কে জীবনের theme-song বানিয়ে চলছে  তাদের বলি নিজের কাজ কে প্রেমিক/প্রেমিকা ভাবতে আর অপেক্ষা করতে সঠিক মানুষের জন্য  ...আর যদি তাও সে না আসে কখনও  ?!? ...তার  মানে এই নয় যে "জীবনটা তোর্ ষোলো আনাই বৃথা " ....সত্যিকারের মনের মানুষের থেকে পাওয়া ভালবাসতে ঘুণ না ধরলেও একঘেয়েমি আসতে পারে ,রঙ চটে যেতে পারে কিন্তু যদি পৃথিবীর কয়েকটা প্রায় কিচ্ছু না পাওয়া মানুষের জন্য কিছু করা যায় স্বার্থশূণ্য ভাবে তবে প্রতিদানে তাদের থেকে পাওয়া অপার্থিব 'উপহারের' আনন্দ সারা জীবনে কখনই মলিন হয় না ।
প্রেমের সফলতার উপর বোধয় জীবনের সার্থকতা নির্ভর করে না...তাই,এই 4G speed-এর যুগে মন আর মস্তিষ্ককে নিজের control-এ রেখে বলতে চাই  ---
"...আমি সূর্যের থেকে ভালবাসা নিয়ে/রাঙাব এ হৃদয় তার রঙ দিয়ে /ব্যর্থ প্রেমের নাটুকে নায়ক পারব না হতে,পারব না  ...!!!"




Oh !..come on, kiddo...grow up !!!...if you are not satisfied don't complain,just move on !!!...this is the high-time to do some serious work !!!