আরে,দাঁড়ান ! দাঁড়ান !..এই post -এর heading টি পড়ে আর উপরে আমার এই guitar কোলে ছবিটি দেখে যদি ভাবেন যে আমি খুব ভালো গীটার বাজাতে পারি তবে খুবই ভুল করছেন কারণ খুব ভালো তো দূর অস্ত,দাদা..আমি গিটার সামান্যতমও বাজাতে পারি না !!! তবুও কেন লেখার এই নামকরণ ? ---আরে ভাই,সেটা জানাতেই তো আজ কলম ধরা । সরাসরি বিষয়ে যাওয়ার আগে কিছুটা 'গৌড়চন্দ্রিকা' এখানে আবশ্যক ; তার কারণটা পরে বলছি। ছোটবেলা থেকেই আমি drawing আর handicraft-এ ঠিকঠাক মানে ঐ মোটামুটি 'কাজ চলে যায়'- type ছিলাম। school এর prize এ পাওয়া অবন ঠাকুরের 'আপনকথা' পড়ে interest যায় 'কাটুম-কুটুম' বানাতে। বানিয়েও ফেলি কয়েকটা । কিন্তু ,আমাদের বাড়িতে আমার জন্য রঙ-তুলি-drawing paper আসার আগেও যেটা সবার আগে এসেছিল সেটা হল --- 'কাঞ্জিলালের ১নং বাঁশির' চড়াপাতের হারমোনিয়াম । আমার মা রীতিমতো trained সুগায়িকা । তাই তিনি হইতো নিজের একমাত্র মেয়ের মধ্যেও সেই নিজেকেই আরো ভালো ভাবে দেখতে চেয়েছিলেন । আর আমার গলাই 'মা সরস্বতীর বাহন' না ডাকলেও যে 'মা সরস্বতী' স্বয়ম ভর করেছিলেন এমনটাও নয় । আর আমার গানের মাস্টারমশাই মনে করতেন (মুখে এবং হাবে-ভাবে প্রকাশ করে ) --- এত বড় পৃথিবীতে গানটাই একমাত্র সাধনার জিনিস আর বাকিগুলো.......(আর না বললেও চলে !) । তাই,ওইটুকু বয়স থেকে রোজ সকালে উঠেই শুরু হত সুর সাধনা ..কোনো কোনো দিন সন্ধ্যেতেও চলতো practise আর তার সাথে সাথে প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে গানের class-এ যাওয়া (কোনো কোনো দিন ইচ্ছে না করলেও !),মাস্টারমশাই -এর কাছে কোনো কোনো মাসে পরীক্ষা দেওয়া,কোনো দিন সামান্যতমও কিছু ভুল হলে এক ঘর ভর্তি ছেলে-মেয়েদের সামনে বকুনি, হাতে/পায়ে তাল দিয়ে তবলার সাথে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান গাওয়া অভ্যেস,function & competition -এ গান গাওয়া সেখানে কৃতকার্য না হলে কৈফেয়ত দেওয়া আর বত্সরান্তে গানের 'annual' পরীক্ষাই বহিরাগত examiner-এর সামনে গান গেয়ে এবং 'theory' মুখস্থ বলে/লিখে '1st class with distinction' পাওয়া ! --- এসব করতে করতে এতটাই তিতিবিরক্ত হয়ে গেছিলাম যে আমি একটু বড় হয়ে চিরকাল মা-এর বাধ্য আমি 'last year' এ গানের পরীক্ষার form fill up করেও পরীক্ষা দিতে বেঁকে বসেছিলাম...এমনকি তবলার সাথে প্রাকটিসে পর্যন্ত যাইনি আর অমন দুঁদে মাস্টারমশাই অব্দি নারাজ আমাকে নিজে থেকে আমার বাড়ি বয়ে এসেও আমাকে বুঝিয়ে রাজি করাতে পারেননি আর শেষ অব্দি আমি ওনার একটা কথাও কানে না তুলে পরীক্ষা না দিয়ে আমার সমস্ত ক্ষোভ বোধয় আমি এইভাবেই উগরে দিয়েছিলাম...আর কোনো দিন গানের স্কুলমুখও না হয়ে যেন আমি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম আর বিশ্বাস করুন ওই ঘটনার জন্য আমার আজও কোনো অনুশোচনা তো হয়ই না উল্টে এখনও মজা লাগে । আসলে তখন অত তলিয়ে না ভাবলেও আজ বুঝি --- নিয়মের অত কড়াকড়ির জন্যই অনিয়মকে আমি বেছে নিয়েছিলাম । ভালো গান আমি খুব ভালবাসি,গাই ও খুব একটা খারাপ না হইতো [at least , better than any 'bathroom-singer' ;-) ]তবু এতদিন পরও 'হারমোনিয়াম' নামক যন্ত্রটিকে আমার এখনও পোষায় না ! কিন্তু তবলা টা আবার পোষায় এবং খুব ভালো ভাবেই পোষায় (না শিখলেও মাঝেমধ্যে দাদরা-কাহারবা-ত্রিতাল এসব বোল ধরে ধরে বাজাবার চেষ্টা করেও দেখেছি ) কারণ আমি খুব ছোট্টবেলা থেকে মাধ্যমিকের syllabus হাতে পাওয়া অব্দি চন্ডীগড় ঘরানায় 'কথ্থক' শিখেছি যাতে তবলা আর ঘুঙুর --- এই দুটোরই দরকার পরে । আসলে,প্রভাকর ঘরানা অনেকটাই চাপের হওয়াই আমার খুব প্রিয় আর অসম্ভব talented এবং সুন্দরী নাচের দিদিভাই-এর classical dance এর ঘরানাকেই আমার জন্য বেছে দেওয়া হয়েছিল সেই সময়..class-IX -এ ওঠার পর কেউ আমায় আমার নাচ ছাড়তে বলেনি...আমি নিজেই ছেড়েছিলাম নিজের পড়াশুনার তাগিদে...তবে আজ আফশোস হয় এই ভেবে যে সেদিন না ছাড়লে আজ হইত এটাতেও পুরো course টা complete করে অনেক দূর এগোতে পারতাম এটা নিয়েও ! এখনও miss করি --- তবলার তালের বোলে এক পায়ে ৫০০ অন্য পায়ে ৫০০ ঘুঙরু দিয়ে তৈরী একেকটা ঘুঙুর দু পায়ে বেঁধে পা মেলানো...'প্রণামী' দিয়ে শুরু করে 'তেহাই' দিয়ে শেষ। হারমোনিয়ামকে যতটা অপছন্দ করি ঘুঙুর দুটোকে ঠিক ততখানিই বোধয় ভালবাসি {যদিও সবথেকে বেশি ভালবাসি আবৃত্তি করতে যেটাতে trained আমি nursery থেকে University অব্দি regular করে করে অল্প-বিস্তর প্রশংসাও কুড়িয়েছি ! --- কিন্তু, এক্ষেত্রে দরকারী শুধু 'গলা/কন্ঠ' ---যেটাকে 'বাদ্যযন্ত্র' বলা চলে না তাই এই নিয়ে বিভিন্ন ঘটনার ঘনঘটা যেমন-ছোটবেলায় কোরাস recitation-এ stage-এ আমার lines ভুলে যাওয়া ইত্যাদি---আজ নয়, আরেকদিন লিখব'খন !}
বাদ্যযন্ত্র নিয়েই যখন কথা হচ্ছে তখন মূল বক্ত্যব্যে যাওয়ার আগে আরো কিছু ছোট্ট-মিষ্টি ঘটনার কথা না বললেই নয় --- জানেন তো , আমি নাকি হাটতে এবং কথা বলতে শেখার আগের বয়সগুলোতে আমার রাঙাদার কার্তিক পুজোর মেলা থেকে কেনা ঢোলের বাদ্যি না শুনে আর সেই সাথে তার লাফিয়ে লাফিয়ে নাচ না দেখে কান্না থামিয়ে খেতাম না !আজ লিখতে বসে এটাও মনে পরে গেল হটাত ! পরে ভায়োলিন ,মাউথঅর্গান, বাঁশি ,ড্রাম,কিবোর্ড,শিস দিয়ে গান গাওয়া ---এগুলোর প্রতিও আগ্রহ ছিল।আগ্রহ ছিল school-sports-এর band-partyর প্রতিও কিন্তু তাতে chance পাওয়ার জন্য অমন বদমেজাজি sports-teacher কে approach করতে সাহসে কুলায়নি আমার এবং আমার মত আরও অনেকেরই ! college এ পড়ার সময় আমার খুব কাছের বন্ধু-বান্ধবীটি একে অপরের প্রেমে পড়ল ; দুজনকেই খুব কাছ থেকে চেনা আমি জানতাম আমার বন্ধুটি তার দাদার থেকে একটু-আধটু বাঁশি বাজানো শিখেছে আর খুব অদ্ভুতভাবে এর সাথে মিল রেখে বান্ধবীটির আবার বাঁশি বাজানো শেখার শখ ছিল কিন্তু এদের দুজনের কাছেই দুজনের এই ব্যাপারদুটো সম্পূর্ণ অজানা ছিল ! তাই আমি আমার বন্ধুটিকে তার সদ্য হওয়া প্রেমিকাকে একটি বাঁশি উপহার দিতে বলি... after all 1st gift বলে কথা..যেমন-তেমন হলে কি চলে বলুন ?!? {এর বদলে আমার এক cup coffee প্রাপ্য ছিল as my advice-treat যেটা আমি আজ অব্দি পেলাম না :-( } আমার একটা একতারা কেনার শখ ছিল যেটা বছর দেড়েক আগে শান্তিনিকেতনে গিয়ে পূরণ হয়েছে ; ওটা আমার খুব প্রিয় ; দুদিকের দুই বাহুতে চাপ দিয়ে একই সাথে মাঝের তারটি নেড়ে বাজানরও একটু আধটু চেষ্টাই আছি । সেই সাথে সাথে জয়্সালমির-এর 'সোনার কেল্লা' থেকে কেনা 'তাম্বুরা'টাও ওটার ছড়াটা দিয়ে বাজাতে চেষ্টা করি...যতটা পারা যায় নিজে নিজে আরকি । {ইচ্ছে ছিল একটা বাদ্যযন্ত্রের collection বানানোর যেটা এখন পর্যন্ত আর হয়ে ওঠেনি !}
এইযে এতগুলো বাদ্যযন্ত্রের সাথে নিজের ছোটখাটো নানান সম্পর্কের কথা বলছিলাম এতক্ষণ ধরে সেটা নিজের ঢাক পেটাবার জন্য নয় । সেটা এটা বোঝাবার জন্য যে ওগুলোর সাথে আমার direct & active relation ছিল যদিও আমি '..master of none' তবু সম্পর্কযুক্ত তো ; ওগুলোকে আমি ধরে ছুয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতে পারি ; কোনো 'long distance relationship' এর ব্যাপার নেই এক্ষেত্রে কিন্তু গিটারের সাথে আমার সম্পর্ক বলতে - বাড়িতে বটুক নন্দীর গিটারের ক্যাসেটে 'ঝড় উঠেছে বাউল বাতাস..' আর ছোটোবেলায় গ্রামের বাড়িতে আমাদের এক দুঃসম্পর্কের মামার ব্যবহৃত পরিতক্ত্য গিটারটির দিকে মাঝে মধ্যে চেয়ে থাকা ...ব্যাস ওই পর্যন্তই ! তবুও জানি না কেন গিটারের প্রতি সেই সদ্য কিশোরী বয়স থেকে কিসের এত টান আমার । specifically বলতে গেলে attraction না বলে obsession বলাই ভালো তবে সেটা আবার acoustic guitar -এর প্রতি , electric এ চলা guitar এর প্রতি কিন্তু নয় যেটা আমাদেরই এক প্রতিবেশী বাজানো শেখাতেন তাই যেটা শেখা আমার পক্ষে আপাত সহজ ছিল কিন্তু সেটাতো আমি শিখতে চাইনি...শিখতে চেয়েছি acoustic guitar আর তাই দুধের বদলে ঘোলে তেষ্টা মিটিয়ে কোনো compromise করতে চাইনি আমি কারণ তখনও গান শেখার অভিজ্ঞতা আমার মনে জ্বল-জ্বল করছে !
তো সেইমতো গন্তব্য স্থলের dress-code maintain করে সাদা পোশাক পরে গেলাম 'কৃষ্টি' তে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের ক'দিন পরেই কোথাও বেড়াতে না গিয়ে, প্রায় ১টা দিন ও সময় নষ্ট না করে 'do it now or never' ভেবে ---
"এটা শিখতে কিন্তু অনেক dedication লাগে ; অনেক সময় প্রথম দিকে আঙুল ছড়ে গিয়ে রক্ত পরে ;হাতে কড়া ও পরে যেতে পারে !" --- ভদ্রলোক একবার আমার রক্তাভ সরু সরু আঙ্গুলগুলোর দিকে আরেকবার আমার ১৫ বছর বয়সের তুলনায় immature মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন । ব্যাস,হয়ে গেল ! সেই confident আমার প্রথমবার গিটার নিয়ে 'বোমকে' যাওয়ার শুরু এবং তার শেষ আজ অব্দি হল না । ততদিনে উচ্চমাধ্যমিকের private-tuition শুরু হয়ে গেছে ;ভাবলাম এমনিতেই science -এর চাপ অনেক --- সবাই বলে তার মধ্যে অত dedication দিয়ে কি practise করতে পারব ? --- না পারলে তো ফালতু গিটার টা কিনে তাতে ধূলো জমিয়ে লাভ নেই ;বাড়ির লোকজনের বকুনিও খাব ; থাক বরং এখন ; Higher Secondary র পর অনেকদিন পাব শেখার ,তখনি নাহয়...
কেটে গেল আরো ২টো বছর ; কিন্তু অদ্ভুতভাবে সে বছর Joint Entrance Examination-এর question-out হয়ে গেল ; exam টা পিছিয়ে গেল প্রায় 1 month ; সব সময়ের বিপরীত হওয়ার পন্থী আমি কখনই কারিগরিবিদ্যা (engineering) কিংবা চিকিত্সাশাস্ত্র (medical)শিখতে/জানতে চাইনি তাই ওই পরীক্ষা যে আমার কাছে খুব important কিছু একটা ছিল এবং তা নিয়ে যে আমার বিশাল উত্সাহ ছিল তা তো নয়ই কিন্তু বাড়ির লোকজন specially বাবাকে তখন যদি বলতাম যে এই সময়টাই গিটার শিখতে চাই সেটা বাড়ির পরিবেশ এবং আমার পক্ষে খুব একটা শান্তিদায়ক বোধয় হত না ! আর এরপর আরও আশ্চর্যজনক ভাবে খুব তাড়াতাড়ি মাধ্যমিকেরও result এর আগে বেরল আমাদের HS এর result যার ঠিক ১-২দিন পরই ছিল আমাদের JEE ! ব্যাস ,এরপর শুরু হল college এ ভর্তির প্রস্তুতি ;আর শুরু হল সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা 'মহানগর'-এ একলা আমার নতুন জীবন যাতে সেট হতে অনেকটাই সময় অপচয় হয়েছিল আমার ;আমাদের অনেক batch mates, seniors ,juniors রা গিটার বাজাতে পারত কিন্তু প্রথমবার কোনো non-celeb মেয়েকে গিটার বাজাতে আমি দেখি আমাদের department এ আমাদেরই freshers' welcome এ ; লালপেড়ে ঘিয়া শাড়ি আর এক পিঠ খোলা চুলের multi-talented ঐ senior দিদিকে গিটার বাজিয়ে ''আমার ভিতর বাহিরে...'' গায়তে দেখে নতুন করে প্রেমে পরলাম গিটারের থুড়ি গিটার বাজিয়ে গান গাওয়ার ! আগে গিটার বাজিয়ে একমাত্র নিপবিথী ঘোষকে গায়তে শুনেছিলাম আর তখন শুনতে শুরু করেছি বিভিন্ন band ,কবীর সুমন ,অঞ্জন দত্তের গিটার আর গিটারের গান আর তারও অনেক পরে অনুপম রায়,সোমলতা আচার্য ! আমাদের Presi -এর মাঠ,ক্যান্টিন,'ট্যান্ক','কোআডড়ি',Geo-Rock etc. কোথাও যদি কাউকে গিটার বাজিয়ে গায়তে শুনেছি একবার অন্তত ফিরে তাকিয়েছি ; না,গিটার বাজানো ছেলেটির প্রেমে পরে অথবা গিটার বাজানো stylish মেয়েটিকে আমার থেকে দেখতে বেশি ভালো কিনা তা দেখতে নয়..এটা দেখতে - "তুমি কেমন করে গান কর হে গুনী..." । কোথাও কাউকে গিটার শিখতে যেতে দেখলে অথবা কোনো অনুষ্ঠানে কাউকে বাজাতে দেখলেই আমি এমন লাফালাফি জুরতাম যে বাকিরা চমকে যেত আর আমার বুকের মধ্যে সঞ্জয় লীলা বনশালীর 'দেবদাস'-এর সেই 'ইশশশশ...' এর ফানুশটা দীর্ঘশ্বাসের মত উঠত যাতে ছিল অনেকটা ভালো লাগা আর কিছুটা নিজের অক্ষমতার আক্ষেপ যেটা আমার family আর friends দের কারোরই অজানা ছিল না আর ! এমনকি youtube এ চেনা কারোর গিটার বাজানোর video পেলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর data খরচ করে অনেকবার দেখেছি ,fb তে অব্দি কেউ গিটার বাজাতে পারে জানলেই [গিটার নিয়ে তোলা profile-picture দেখে অনুমান করে আর কি ! :-D] আমার interest বেড়ে গেছে তবে সেটা তার প্রতি যতটা না তার গিটারের প্রতি অনেক বেশি ,চেনা যারা বাজাতে জানত তারা অনেক ভালো suggestion ও দিত এমনকি নিজে থেকেই শিখেছিল এমন একজন তো আমাকে তার মত Internet দেখে নিজে নিজে শেখার পরামর্শও দেয় !!! Graduation এর পর 'রঞ্জনা আমি আর আসব না'তে 'রঞ্জনা' কে দেখে আবার নতুন করে কোন গিটার কিনব,কোথা থেকে কিনব সেটা যাদের সাথে যাব কিনতে তাদের সাথে কথা বলে ঠিক ও করে ফেলেছিলাম এমনকি যেখানে শিখতে ভর্তি হব সেখানে ('প্রতিচী'তে)প্রাথমিক কথাও বলে এসেছিলাম কিন্তু তখন আবার কলকাতাই Post Graduation করতে ভর্তি হব নাকি অন্য কোথাও সেটা ঠিক না থাকাই গিটার শেখা আর শুরুই হইনি কখন !!! আর তার পর থেকে এখন অব্দি এমনি অবস্থা দিয়ে যাচ্ছি যে নিজের জন্যই সময় হয় না তো গিটার...!!! গিটারের প্রতি আমার এই zeal দেখে আমার বাবা যিনি কিনা আজীবন পরাশুনাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে এসেছেন তিনি অব্দি আমাকে শিখতে বলেছিলেন ! কিন্তু ,ওই...বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন পরিস্থিতি...!!!
আগে ছিল school এর দেয়াল-পত্রিকা ,school-magazine, বিভিন্ন little magazine , college-magazine এ লেখা,নানান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করা,নিজেদের Departmental magazine এর editorial লেখা আর তারপর এল blogspot,wordpress etc. তে blog লেখা ; আগে ছিল orkut যেটাতে আমি থাকলেও খুব একটা active কখনই ছিলাম না কিন্তু active কেন super-active হলাম fb তে ,twitter, google plus এ আর সেই সাথে photography এর নেশা শুরু হল...ঠিকই ধরেছেন নেশাই বটে --- একটা ছবিতে একটা মূহুর্তকে ক্যামেরাবন্দী করে একটা আস্ত গল্প বলার নেশা ...এতদিন শুধু fb ছিল এবার profile তৈরী হল flickr,instagram -এ কিন্তু তবু এত কিছুর মাঝেও,এত পরিবর্তনের মধ্যেও আমার সেই 'ছোট্টবেলার প্রেম' কে ভুলতেও পারিনি আবার পেতেও পারিনি [হইতো কিছুটা নিজের দোষেই নিজের গাফিলতির জন্যই !] ; আমার মতো অনেকেরই প্রথম প্রেম হইত গিটার পার্থক্য এটাই যে তারা পেরেছে সাহস দেখিয়ে নিজের ভালোবাসকে নিজের মত করে জিতে নিতে..coward আমি পারিনি.."যেটা ছিল না,ছিলনা-সেটা না পাওয়াই থাক /সব পেলে নষ্ট জীবন..!!!" গুনগুনিয়ে নিজেকে সান্ত্বনা দিয়েছি কারণ সবসময় মনে হয়েছে যদি সব্যসাচীর মত দু'হাত সমান চালিয়ে একে আপন করে নিতে না পারি তাহলে যে -স্বপ্নে গিটার বাজিয়ে গান গাইতে পারা নিজের কাছে নিজেই হাস্যকর হয়ে যাব !!!...না-জানার তুলনায় না-পারাটা আমার কাছে অনেক বেশি লজ্জার ।
যদি জিগ্গেস করি --- আপনাদের কাছে 'most romantic' কোন সিনেমার কোন দৃশ্য জানি অনেকেই অনেক কিছুই বলবেন কিন্তু এত এত ভিন্নধর্মী movie দেখেও আমার কাছে most romantic হল একটি South Indian সিনেমার সেই দৃশ্য যেখানে সিনেমার hero তার heroine কে রীতিমতো কোলে বসিয়ে পরম যত্নে গিটার শেখাচ্ছে ; না, hero-heroine এর intimacy র জন্য নয়..গিটার টিকে এখানে romanticism এর prop হিসেবে use করা হয়েছে বলে ।
আমার কাছে guitar একটা আনকোড়া জীবন্ত শরীরের মতো যার গনগনে আঁচে আমার আর পোড়া হল না কখনও !!! সিনেমার মতো বিশেষ কারোর বাহুলগ্না হয়ে নাহয় নাই শিখতে পারলাম গিটার কিন্তু guitar কে নিজের বাহুলগ্ন করেও গেয়ে উঠতে পারলাম না --- "आरे इयारों,दोस्ती बड़ी ही हसीन हैं...!!!"
নাহ ! Miss Sarkar, এ-'জম্মে' তোমার আর guitar শেখা হল না ।